‘আফরান নিশোর’ কথায় বেজায় নারাজ ‘শাকিব’ ভক্তরা!

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো এবং বড় পর্দার সুপারস্টার খ্যাতো নায়ক শাকিব খান। যাদের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের দর্শকমহলের কাছে তারা দুজন এক ভালোবাসার পাত্র।

এবার আফরান নিশোর কথায় বেজায় নারাজ শাকিব ভক্তরা! একটি সাক্ষাৎকার কে কেন্দ্র করে উঠে আসে এই ঘটনা।

ঈদুল আজহায় একসঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে চিত্রনায়ক শাকিব খান অভিনীত ‘প্রিয়তমা’ ও ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমা।

মুক্তির পর থেকেই পর্দায় বাজিমাত করেছে ঈদের সিনেমাগুলো। দর্শকদেরও প্রশংসা পাচ্ছে তাদের নতুন ছবি। যার কারণে এই দুই অভিনেতার ভক্তরাও মেতেছেন নানা তর্ক-বিতর্কে। কেউ বলছেন ‘সুড়ঙ্গ’ এবারের ঈদের সেরা সিনেমা। আবার কেউ দাবি করছেন ‘প্রিয়তমা’ই সেরা।

যদিও এসব নিয়ে দুই অভিনেতাকে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। তবে সোমবার (৩ জুলাই) বিকেলে স্টার সিনেপ্লেক্সের মহাখালী শাখায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় ‘সুড়ঙ্গ’ টিম। যেখানে কথা বলেছেন আফরান নিশো।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের এক ফাঁকে ‘বিয়ে-বউ’ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে দেখা যায় এই অভিনেতাকে। যেখানে নিশোর কথায় পরোক্ষভাবে শাকিব খানকেই যেন খোঁচা মেরেছেন তিনি, এমনটা দাবি করছেন ভক্তমহলের এক অংশ।

আমি তো সো কল্ড ওই হিরো না যে, বিয়ে করে বউয়ের কথা বলব না, বাচ্চার কথা বলব না। ব্যাস! এতেই লেগে গেল বতশা!

তিনি আরও বলেন, এসব ধারণা অনেক আগে ছিল যে, তোমরা যারা নায়ক তারা বের হয়ে মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ কর না, বেশি এক্সক্লুসিভ থাক। এমন ধারনা আগে এক সময় ছিল কিন্তু বর্তমানে এসব কিছু আগের মত নেই।

নিশো বলেন, কিন্তু আমরা যারা ছোটপর্দায় কাজ করেছি, আমাদের অনেক বেশি উৎসাহ-অনুপ্রেরণা দিয়েছে ভক্তরা। তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা, সহজ হওয়া, কথা বলা—এসব ভদ্রতা ও আন্তরিকতা।

নিশো বলেন, একটা প্রশ্ন বারবারই আসে, সেটা হচ্ছে চাপ। এই চাপ তো কোনো সময় ছিলো না, শুটিংয়ের সময় ছিলো। বয়স হয়ে গেছে চল্লিশের ওপরে। অনেক দিন ধরে কাজ করছি। চাপটা আসলে কীসের?

এরমধ্যেই এক গণমাধ্যমকর্মী বলেন, বয়সটা বলে দিলেন! জবাবে নিশো যেই উত্তর দিলেন সেখানেই যেন শাকিবকে নিশানা করলেন। অভিনেতা বললেন, বয়স বলছি কারণ, আমি তো সো কলড ওই হিরো না যে বিয়ে করে বউয়ের কথা বলব না বা বাচ্চার কথা বলব না। এসব ধারণা ছিলো অনেক আগে। যখন নায়কদের বেশি এক্সক্লুসিভ থাকতে বলা হতো। জনগনের সঙ্গে দেখা না করা সাক্ষাৎ না দেওয়ার প্রচলন ছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *